শেরপুরের শ্রীবরদীতে ড্রাগন চাষ সফলতার স্বপ্ন দেখছেন ছয় বন্ধু। এএসএম আজিজুল হাসান ওমান, আবু রায়হান, শামসুজ্জামান সুমন, শাহাদাৎ হোসেন জিকো, বিল্লাল হোসেন উজ্জল, সরকার জুবায়ের হোসেন সুজন নামে ছয়জনে মিলে প্রতিষ্ঠানের নাম দেয় এডভেন্টা এগ্রো।
পরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দহেরপাড় গ্রামে ৫০ শতক জমি ৩ লাখ টাকা দিয়ে লিজ নেয় তারা। গতবছর গাজীপুর কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে ড্রাগনের ৮০০ চারা কিনে ২০০ খুঁটিতে রোপণ করেন। সব মিলিয়ে তাদের প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ১৩ মাস বয়সী প্রত্যেকটি চারায় একাধিক ফল এসেছে।
এতেই তারা খুশি। তাদের প্রত্যাশা আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছরই তাদের বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত আসবে। আগামী বছর থেকে প্রায় পাঁচ ছয় লাখ টাকা লাভ হবে।
আবু রায়হান বলেন, কম সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় আমরা ড্রাগন চাষ করেছি। প্রথমবারই ফলন অনেক ভালো হয়েছে। শামসুজ্জামান সুমন বলেন, ড্রাগনের উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম। গাছে জৈবসার দিলেই ফলন ভালো হয়। রাসায়নিক সারের প্রয়োজন নেই। এপর্যন্ত আমাদের প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। য়ে পরিমাণ ফল এসেছে, তাতে এবছরই আমাদের বিনিয়োগের টাকা উঠে আসবে।
এএসএম আজিজুল হাসান ওমান বলেন, করোনার পর আমাদের ব্যবসায় ধ্বস নামে। তখনই ভেবেছিলাম একটা কিছু করতে হবে। অনেকের কাছেই জানতে পারলাম ড্রাগন চাষ লাভজনক। একবার চারা রোন করলে প্রায় ২০ বছরের অধিক ফল দেয়। তাই ছয় বন্ধু মিলে জমি লিজ নিয়ে ড্রাগন চাষ করেছি। এছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি সেক্টর এগিয়ে নিতে আমরা অন্যান্য চাষাবাদও শুরু করবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবরিনা আফরিন বলেন, বাগানটি আমরা পরিদর্শন করে পরামর্শ দিয়েছি। আমাদের ড্রাগনের কোন প্রদর্শনী নেই। তবে গ্রীষ্মকালীন বেগুনসহ অন্য চাষাবাদে তাদের আগ্রহ রয়েছে। আমরা সাধ্য অনুযায়ী তাদের সহযোগিতা করবো।
টিএইচ